গলাকাটা মসজিদ

গলাকাটা মসজিদ

Khulna Jhenaidah

0 Reviews

গলাকাটা দিঘি ঢিবি মসজিদ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বারোবাজার হতে তাহেরপুর রাস্তাটির পাশে অবস্থিত। গলাকাটা মসজিদের পাশেই গলাকাটা দীঘি অবস্থিত। দীঘিটি খান জাহান আলী কর্তৃক নির্মিত বা সমসাময়িক দীঘি বলে অত্যন্ত প্রবল জনশ্রুতি আছে। আর এ দীঘির ঠিক দক্ষিণ পাশেই রয়েছে গলাকাটা মসজিদ।


গলাকাটা মসজিদটি বারোবাজার - তাহেরপুর রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত। চারটি ৬ কোণাকৃতি বড় মোটা পিলারের উপর বর্গাকৃতি মূল মসজিদটি দন্ডায়মান এবং প্রত্যেক বাহু ২৫ ফুট লম্বা ও দেয়াল ৫ ফুট চওড়া। এতে ৩টি প্রবেশ দ্বার আছে। মসজিদটির পূর্ব পাশে পাকা প্রাঙ্গন ছিল। ভিতরে পশ্চিমের দেয়ালে ৩টি মেহরাব আছে এতে পোড়ামাটির কারুকাজ, ফুল, লতাপাতা, ঘন্টা, চেইন ইত্যাদির নকশা আছে। কালো পাথরের ৮ ফুট উচ্চতার দু'টি স্তম্ভ ছাদের পিলার হিসেবে আছে। স্তম্ভের সামনে পিছনে ৬টি মাঝারি আকৃতির গম্বুজ আছে। শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে হুসাইনের আমলের ৮০০ হিজরীর আরবি-ফার্সিতে লেখা কয়েকটা পাথর খননের সময় এগুলো এখানে পাওয়া গেছে। মসজিদের সাথে সাদৃশ্য আছে গৌরের ধবীচক ও ঝনঝনিয়া মসজিদ, ঢাকা রামপালে বাবা আদমের মসজিদ, শৈলকুপার শাহী মসজিদ ও বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের। ইসলামী স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে গলাকাটা মসজিদ বাংলাদেশের পুরাকীর্তিকে সমৃদ্ধ করেছে।গলাকাটা মসজিদের পাশে গলাকাটা দীঘি অবস্থিত। খান জাহান আলী (রাঃ) এর সমসাময়িক এ দীঘি বলে প্রবল জনশ্রুতি আছে। এ দীঘিটি চর্তুদিকের পাড়সহ বারো বিঘা জমির উপর অবস্থিত। এ দীঘির দক্ষিণ পাড়েই গলাকাটা মসজিদ। দীঘির পশ্চিম পাড়ে একটি ছোট অনুচ্চ ঢিবি আছে।

Instruction

কিভাবে যাবেন

ঢাকার গাবতলী থেকে রয়েল, সোনার তরী, এসবি পরিবহণ, জেআর পরিবহণ, চুয়াডাঙ্গা, হানিফ, দর্শনা ও পূর্বাশা ডিলাক্স বাসে ঝিনাইদহ যাওয়া যায়। ঝিনাইদহ থেকে বাস বা সিএনজি চড়ে কালীগঞ্জ হয়ে বারোবাজার থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে হাকিমপুর-বারোবাজার রাস্তার পাশে অবস্থিত গলাকাটা মসজিদে দেখতে যেতে পারবেন। এছাড়া যশোর থেকে ঝিনাইদহ মহাসড়ক দিয়ে ১৬ কিলোমিটার উত্তরে বারোবাজারে পৌঁছানো যায়।