হিরণ পয়েন্ট

হিরণ পয়েন্ট

Khulna Bagerhat

0 Reviews

হিরণ পয়েন্ট, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লোনাবন (mangrove forest) সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর আরেক নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান।হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম একটি বিশ্ব ঐতিহ্য (World Heritage)।  হিরণ পয়েন্টে কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরহামেশাই হরিণ, বানর, গুইসাপ, কুমির প্রভৃতি প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। এছাড়া হিরণ পয়েন্ট থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কেওড়াসুঠি নামক স্থানে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে হিরণ পয়েন্ট সহ সুন্দরবনের একাংশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

হিরণ পয়েন্ট একটি অভয়ারণ্য হওয়ায় এই স্থান অনেক বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি এবং সরিসৃপের নিরাপদ আবসস্থল।[১] সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান হলো এই হিরণ পয়েন্ট। এখানে দেখা পাওয়া যায় চিত্রা হরিণ, বন্য শুকরের; পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বুক মাছরাঙা, হলুদ বুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদা খোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি

Instruction

কিভাবে যাওয়া যায় ঃঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাগেরহাটগামী বিভিন্ন বাস চলাচল করে। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায় মেঘনা পরিবহন (০১৭১৭-৩৮৮৫৫৩) ও পর্যটক পরিবহন (০১৭১১-১৩১০৭৮) এর বাস। আর গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে সাকুরা পরিবহন (০১৭১১-০১০৪৫০) এবং সোহাগ পরিবহন (০১৭১৮-৬৭৯৩০২) এর বাস ছাড়ে। চাইলে কমলাপুর থেকে ট্রেনের মাধ্যমে খুলনা আসতে পারেন। খুলনা থেকে রুপসা কিংবা বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে সুন্দরবন হিরণ পয়েন্ট যাওয়ার লঞ্চ পাবেন। এছাড়া বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা থেকেও সুন্দরবনে যাওয়ার বিভিন্ন নৌযান ভাড়া পাওয়া যায়।


কোথায় থাকবেন ঃ  সুন্দরবনের টাইগার পয়েন্টের কচিখালী, হিরণ পয়েন্টের নীলকমল এবং কাটকায় বন বিভাগের রেস্টহাউজে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নীলকমলে থাকতে চাইলে দেশি পর্যটকদের প্রতি কক্ষের জন্য ৩০০০ টাকা লাগবে আর বিদেশিদের জন্য ৫০০০ টাকা। কচিখালী প্রতি কক্ষের জন্য লাগবে ৩০০০ টাকা আর বিদেশিদের জন্য লাগবে ৫০০০ টাকা। কটকাতে প্রতি কক্ষ নিতে ২০০০ টাকা লাগবে এবং বিদেশীদের জন্য রুম প্রতি ৫০০০ টাকা লাগবে।

মংলায় থাকার জন্যে পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল আছে এবং পশুর বন্দরে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল পাবেন। এছাড়া সাতক্ষীরা ও খুলনা নগরীতে অবস্থিত বিভিন্ন মানের হোটেলে রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে।

Travel Cost

অভয়ারণ্য এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের জনপ্রতি ভ্রমণ ফি – ৩০ টাকা, সাধারণ দেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি – ১৫০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি – ১৫০০ টাকা। অভয়ারণ্যের বাইরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্রমণ ফি – ২০ টাকা, সাধারণ পর্যটকদের ফি – ৭০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি – ১০০০ টাকা এবং গবেষকদের ভ্রমণ ফি – ৪০ টাকা।


বন বিভাগের ভ্রমণ ফি ব্যাতিত অন্যান্য খরচের মধ্যে আছে প্রতিদিন ৫০০ টাকা গাইড ফি, নিরাপত্তা গার্ড ফি ৩০০ টাকা, লঞ্চের ক্রুর ফি ৭০ টাকা এবং টেলিকমিউনিকেশন ফি ২০০ টাকা। এছাড়া দেশি পর্যটকদের জন্য ভিডিও ক্যামেরা ফি ২০০ টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ৩০০ টাকা।


সুন্দরবনে রাস পূর্ণিমার সময় তীর্থযাত্রীদের ৩ দিনের জন্য জনপ্রতি ফি দিতে হয় ৫০ টাকা, নিবন্ধনকৃত ট্রলার ফি ২০০ টাকা, অনিবন্ধনকৃত ট্রলারের ফি ৮০০ টাকা এবং প্রতিদিন অবস্থানের জন্য ট্রলারের ফি ২০০ টাকা