ইলা মিত্রের পৈত্রিক ভিটা

ইলা মিত্রের পৈত্রিক ভিটা

Khulna Jhenaidah

0 Reviews

ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে তার পৈত্রিক ভিটা । ইলা মিত্র (১৮ অক্টোবর, ১৯২৫ - ১৩ অক্টোবর,২০০২) একজন বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন ।বৃটিশ সরকারের সেসময়কার বাংলার একাউন্টেন্ট ছিলেন জেনারেল নগেন্দ্র নাথ সেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে ছিল তার বাড়ি। ইলা মিত্র তার মেয়ে। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৪০ সালে জাপান অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হন ইলা। যুদ্ধের কারনে ওই বছরে বিশ্ব অলিম্পিক হয়নি। ১৯৪৪ সালে বেথুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও সংস্কৃতি ভাষায় এমএ ডিগ্রী লাভ করেন ইলা মিত্র। ১৯৪৫ সালে বিয়ে হয় তার। 


১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তে-ভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ইলা মিত্র। কৃষক আন্দোলন সংগ্রামের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়ে নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। ১৯৪৬ সালের দিকে দিনাজপুরের হাজি দানেশের প্রচেষ্টায় তে-ভাগা আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় স্বামী কমরেড রমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে ভারতে মালদহের নাবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্র হাটের শ্বশুরের জমিদার বাড়ি ছেড়ে দিনাজপুর চলে আসেন। 


ইলা সেন যখন বেথুন কলেজে বাংলা সাহিত্যে বি.এ সম্মানের ছাত্রী তখন থেকেই রাজনীতির সাথে পরিচয় ঘটে। নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে প্রবেশ। সময়টা ছিল ১৯৪৩ সাল, ইলা সেন কলকাতা মহিলা সমিতির সদস্য হলেন। হিন্দু কোড বিলের বিরুদ্ধে ঐ বছরই মহিলা সমিতি আন্দোলন শুরু করে। সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি সনাতনপন্থীদের যুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অনেক প্রচার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি নামক সংগঠনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের এই কাজ করতে করতে তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।