খাঞ্জেলি দীঘি
খানজাহান (র) মাজার সংলগ্ন প্রায় ৬১.৭৫ একর জমি জুড়ে ‘খাঞ্জেলি দীঘি’ অবস্থিত। হিন্দু ভক্তরা একে বলে ঠাকুর দীঘি। ইট ও ইটের গুড়ি জমিয়ে দিয়ে নির্মিত দীঘির চারপাশে চারটি বাঁধানো ঘাট ছিল তার তিনটি ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে। ৬০ ফুট প্রশস্ত দীঘির প্রধান ঘাট টি বিগত (১৯৯৬-২০০১) আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংস্কার করা হয়েছে। এতে ২৮টি ধাপ রয়েছে। মহিলাদের জন্য পৃথক একটি ঘাট আছে। খানজাহানের মাজার জিয়ারত করতে এসে অনেকে ভক্তিভরে রোগপীড়া থেকে নিরাময়ের জন্য এই দীঘির পানি পান করে ও মানত করে। পুণ্য স্নানের জন্য দেশ বিদেশ থেকে অনেক পূণার্থীরা এখানে আসেন।
পর্যটকদের আরেক আকর্ষণ মাজারের দিঘির ‘কালা পাহাড়’ ও ‘ধলা পাহাড়’ নামের কুমির যুগল। এ নিয়ে বিভিন্ন মিথ্ বা উপাখ্যানও আছে। তবে এই কুমির খুবই শান্ত মেজাজের। ফকির খাদেমরা ‘কালা পাহাড়’ ও ‘ধলা পাহাড়’ বলে ডাকলে আজও তারা ঘাটে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই দীঘির সর্বশেষ ‘কালা পাহাড়’ (খান জাহানের সময়ের কুমিরের সর্বশেষ পুরুষ বংশধর) ২০০৭ সালে মারা গেছে। এখন দীঘিতে যে কুমিরগুলো আছে তার মধ্যে একটিমাত্র ধলা পাহাড় (খান জাহানের সময়ের কুমিরের সর্বশেষ মেয়ে বংশধর)। বাকিগুলো ২০০৫ সালে ভারত থেকে আনা মিঠা পানির কুমির।
খানজাহান (রহ:) এর কীর্ত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে এক গম্বুজ মসজিদ,বিবি বেগিনীর মসজিদ,সিংড়া মসজিদ,চুনাখোলা মসজিদ,তাঁর অনুচর জিন্দা পীর ও তাহেরের মাজার,ঘোড়া দীঘি,পচাঁ দীঘি,কোদাল ধোয়া দীঘি,এখতারখা দীঘি প্রভৃতি।