ঈশ্বরীপুর হাম্মাম ও বংশীপুর শাহী মসজিদ
পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ঠ এই মসজিদ ১৫৯৯ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত বলে জানা যায়। সতিশ চন্দ্র মিত্রের যশোর-খুলনার ইতিহাস মতে, ‘‘ হামাম খানা ছাড়িয়ে আর একটু দক্ষিন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হইলে এক প্রকান্ড পুরাতন মসজিদ দেখিতে পাওয়া যায়। সরকারী রিপোর্টে উহাকে টেঙ্গা মসজিদ বলা হয়েছে। টেঙ্গা নামের উৎপত্তির কোন কারন জানা যায়না। ইহা যে প্রতাপাদিত্যের নতুন রাজধানীতে অবস্থিত মুসলমান সৈন্য ও রাজকর্মচারীগনের উপাসনা গৃহ বলিয়া নির্মিত সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই। মসজিদ টি এক শ্রেনীতে পাঁচটি ঘরে বিভক্ত, প্রত্যেক ঘরের উপরে একটি গম্বুজ। মসজিদের বাহির পরিমান ১৩৬র্র্ ^ ৩৩র্র্, মধ্যস্থলে ঘরটির ভিতরের মাপ ২০র্র্- ৯র্র্^ ২০র্র্- ৯র্ এবং পার্শ্ববর্তী অন্য চারটির প্রকত্যেকটি ১৮র্র্- ৭র্র্^ ১৮র্ - ৭র্ র্। মেঝে হইতে গম্বুজের উচ্চতা ৩৬র্ । মধ্য ঘরের দরজার খিলান ৭র্ - ৩র্র্ প্রশস্ত এবং অন্য ঘরগুলির দরজার খিলান ৬র্ - ৩র্র্ প্রশস্ত। বাগের হাটের খাঁনজাহান আলীর মাজার ব্যাতীত শক্ত মসজিদ এ প্রদেশে বড় কম দেখিতে পাওয়া যায়। মসজিদের পূর্বদিকে তিনদিকে প্রাচীর বেষ্টিত একটি চত্ত্বর ছিল। এই চত্তরের উত্তর গায়ে সারি সারি কয়েকটি সমাধি দেখিতে পাওয়া যায়। সেগুলি বাবর উমরার কবর বলিয়া খ্যাতঘরের প্রয়োজনে জঙ্গলের মাটি কাটছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ শক্ত কিছুতে বেঁধে গেলো কোদাল। মাটি সরিয়ে পাওয়া গেলো দেওয়াল, ছাদ, গম্বুজের অবয়ব। গ্রামবাসী মিলে চারপাশের মাটি সরালে বেরিয়ে পড়লো আস্ত মসজিদইটাই। ১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা। আর চওড়া মাত্র সোয়া ৩২ ফুট।
Instruction
যাওয়ার ঊপায় ঃ বংশীপুর, শ্যামনগর উপজেলা, সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা। শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামে টেংগা বা শাহী মসজিদ থেকে কিছুটা সামনে এবং যশোরেশ্বরী মন্দিরের পশ্চিমে অবস্থিত হাম্মামখানা বা স্নানাগার। শ্যামনগরের নেমে যে কাউরে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে এই হাম্মামখানা।
শ্যামনগর থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যেতে বংশীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে কয়েকশ’ মিটার হাঁটলেই ঈশ্বরীপুরে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদের কাছেই পুরনো কবরস্থান আর ঈদগাহ।