কলিমউদ্দিন শাহ এর আখড়া
মেহেরপুরের ভৈরব নদের পশ্চিম তীরে যাদবপুরের গ্রামে জন্ম নেয়া কলিমউদ্দীন শাহ একজন বিখ্যাত বাউল সাধক। এ গ্রামে ১৪ বিঘা জমির উপর রয়েছে ‘কলিমউদ্দীন শাহের আখড়া’- যা এলাকায় ‘কালি ফকিরের আখড়া’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর ১৪ই ভাদ্র, ২৭শে চৈত্র ও ৩০শে ফাল্গুন এ তিনটি দিবসে এখানে দেশ-বিদেশের বাউল ফকিরগণের সমাবেশ হয়। নিঃসন্তান অবস্থায় বাংলা ১৩৯১ সনের ২৭শে চৈত্র কলিমউদ্দীন শাহ ওরফে কালি ফকির মারা যান। তাঁর নির্মিত এ আখড়ার কেন্দ্রস্থলেই তাকে সমাহিত করা হয়।
Instruction
কিভাবে যাবেন ঃ রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেরপুর জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং এসি বাসের ক্ষেত্রে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া রাজশাহী থেকে মেহেরপুর জেলার সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। গোল্ডেন স্টার এবং আশার প্রদীপ পরিবহন নামের দুইটি বাস সার্ভিস চালু আছে। গোল্ডেন স্টার পরিবহন রাজশাহীর ভদ্রার মোড় থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং আশার প্রদীপ পরিবহন বিকাল সাড়ে পাচটায় বাস ছাড়ে। এছাড়া বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু আছে যা রুয়েট গেটের নিকট থেকে দুপুরে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ৩৫০ টাকা।
বরিশাল থেকে আলসানি-বরিশাল ডিলাক্স নামের বাস সার্ভিস চালু আছে।বাগেরহাট থেকে খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ হয়ে মাছরাঙ্গা ট্রাভেলস নামের বাস সার্ভিস চালু আছে। বাগেরহাট থেকে বাসটি দুপুর ২ঃ৩০ এ মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
কোথায় থাকবেন ঃ মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন করপোর্রেশনের হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের স্থাপিত ডাকবাংলোয় ৩টি ভিআই পি কক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা আছে।এছাড়া আছে অনাবিল আবাসিক হোটেল মানে ভালো ।
কোথায় খাবেন ঃ মেহেরপুরের বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে ”সাবিত্রী” ও “রসকদম্ব” নামক মিষ্টি। দেশের আর কোথাও এই মিষ্টি বিক্রিয় করা হয় না। আর আমের মৌসুমে মেহেরপুর গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না।