জোড়বাংলা মসজিদ
জোড়বাংলা মসজিদ ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার মৌজায় অবস্থিত। জোড়বাংলা নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য নেই, তবে প্রচলিত মতে ঐ স্থানে এক জোড়া কুড়ে ঘর ছিল। সে কারনেই নামকরণ করা হয় জোড়বাংলা। আবার কারো কারো মতে এখানে জোড়া দিঘি ছিল। যার কারনে জোড়বাংলা নামকরণ হয়েছে। সম্ভবত ৮০০ হিজরিতে আলাউদ্দিন হুসাইন শাহের পুত্র শাহ সুলতান মাহমুদ ইবনে নুসাই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ কর্তৃক খননের ফলে আবিস্কৃত হয়েছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটি। এর পাশে কয়েকটি কবর আছে। জোড় বাংলা মসজিদ (Jor Bangla Mosque) এর উত্তরের পুকুরটি অন্ধপুকুর নামে পরিচিত। সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে মুসল্লীদের ওজু ও পানীয় জলের প্রয়োজনে সম্ভবত এ পুকুর খনন করা হয়েছিল।
ছোট ছোট সুন্দর পাতলা ইটে গাঁথা এ মসজিদটি ১০/১১ ফুট উচুঁ প্লাটফর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত। এর প্রবেশ পথ থেকে দীঘি পর্যন্ত ইটের তৈরী বিশাল সিঁড়ি নেমে গেছে। পশ্চিম দেয়ালে অর্ধবৃত্তাকারে পোড়ামাটির নক্সা ও অলংকরণে ৩টি মেহেরাব আছে। চুন বালির প্লাস্টারের কাজও লক্ষ্য করা যায়। মেহেরাবের দুই পাশেই ছোট পিলার আছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি ফুল ও লতাপাতা অংকিত ইটের তৈরী। স্থাপত্য শিল্পের সৌন্দর্য ও কারুকার্যময় এ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি মুসলিম সভ্যতা ও উৎকর্ষের নিদর্শন।
ভিতর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালের প্রত্যেকটিতে দুটি করে মসজিদের দেওয়ালে চারটি ছোট কুলঙ্গি আছে। মসজিদের পূর্ব পাশে তিনটি সুচালো খিলান যুক্ত প্রবেশ পথ আছে। মসজিদের চার কোণে আটকোণ বিশিষ্ট চারটি কারুকাজ খঁচিত টাওয়ার আছে। বহুভাঁজ বিশিষ্ট খিলানযুক্ত মিহরাবগুলো ফুলেল এবং জ্যামিতিক নকশা দ্বারা চমৎকারভাবে সুসজ্জিত।
Instruction
কিভাবে যাবেন
ঝিনাইদহ থেকে বাস অথবা সিএনজি দ্বারা এই মসজিদটিতে যাওয়া যায়। এছাড়াও নিজস্ব মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার নিয়েও ঘুরে আসতে পারেন এই মসজিদ।
কোথায় থাকবেন
ঝিনাইদহে পর্যটকদের থাকার জন্য তেমন কোন সুব্যবস্থা নেই। এখানে থাকার জন্য যে সব হোটেল আছে সেগুলোর সেবার মান আপনার জন্যে অতোটা মানসম্পন্ন মনে নাও হতে পারে।