ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

Khulna Kushtia

0 Reviews

ঝাউদিয়া মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক কিংবদন্তী প্রচলিত তবে এর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় না। জনশ্রুতি অনুসারে, ইরাকের শাহ সুফি আদারি মিয়া ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আস্তানা তৈরি করেন ও তিনিই এ সময় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে, প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এটাও মনে করা হয় যে, মসজিদটি অলৌকিকভাবে তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা এটাও মনে করেন মসজিদের পাশেই উক্ত সুফি সাধকের কবর রয়েছে। বর্তমান মসজিদটির দ্বারপ্রান্তে এটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় তৈরি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি সম্পর্কেও প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নথি পাওয়া যায়নি। ১৯৬৯ সালে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাতে নথিভুক্ত করা হয়েছিল।প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী এটি ঝাউদিয়া গ্রামের জনৈক হাসান আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যগণ তত্ত্বাবধান করে আসছেন। তবে বর্তমানে মসজিদটি সরাসরিই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিচালনা করে থাকে।

Instruction

কিভাবে যাবেন ঃ বাংলাদেশের যে কোন জায়গা হতে রেল অথবা সড়ক পথে ঈশ্বরদী/পাকশী রেলওয়ে স্টেশন অথবা বাস টার্মিনালে নেমে রি´া/টেম্পুযোগে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে বাস ও ট্রেনে কুষ্টিয়ায় যাওয়া যায়। রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স, শ্যামলী, হানিফ পরিবহণের বাসে কুষ্টিয়া যেতে পারবেন। ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে সুন্দরবন বা চিত্রা এক্সপ্রেসে পোড়াদহ কিংবা ভেড়ামারা ষ্টেশনে নেমে বাস অথবা সিএনজি ভাড়া করে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস মোড় থেকে বাস বা সিএনজিতে ঝাউদিয়া- মাছপাড়া সড়ক হয়ে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন।


কোথায় থাকবেন ঃ কুষ্টিয়া শহরে রাত্রি যাপনের জন্যে  হোটেল নূর ইন্টারন্যাশনাল,পদ্মা হোটেল, হোটেল রিভারভিউ এছাড়া আরো অনেক আবাসন রয়েছে ।


কোথায় খাবেন ঃ এখানে ভালোমানের খাবারে জন্যে  রয়েছে মমতাজ হোটেল, পদ্মা হোটেল,হোটেল রিভার ভিঊ ইত্যাদি ।জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল এবং খাওয়া-দাওয়া হোটেলে খেতে পারেন। আর কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি মালাই অবশ্যই খাবেন।