পাঠাগার ঢিবি
পাঠাগার ঢিবি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের তাহেরপুর সড়ক থেকে ১৫০ মিটার উত্তরে মিঠাপুকুর মৌজায় অবস্থিত ।আয়তাকৃতির পাঠাগার ঢিবিটির দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। খননের ফলে আবিস্কৃত মসজিদটি তুলনামূলকভাবে ছোট ও বর্গাকৃতির। মসজিদটির প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ৬.৯ মিটার এবং দেয়ালের পুরুত্ব ১.৩৮ মিটার।[৬] মসজিদের চার কোণায় রয়েছে অষ্টভুজাকৃতির টাওয়ার, যার নিচে দিগন্ত রেখাকৃতির বাঁধন রয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে একটি করে তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। সবকটি প্রবেশ পথের প্রান্ত সীমা জ্যামিতিক নকশা সম্বলিত সমকোনী ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো। পশ্চিম পাশে দেয়ালে একটি অর্ধাবৃত্তাকৃতির মেহরাব রয়েছে। মেহরাবের ভিতর দিকে পোড়ামাটির নকশা আঁকা আছে।[৭] মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট ও লাল ইটের তৈরি। এর পাশে রয়েছে একটি বড় দিঘি, যার নাম পিঠেগড়া পুকুর।
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৩ সালে খনন কাজ চালিয়ে এই ঢিবিতে একটি প্রাচীন মসজিদ আবিষ্কার করে।[২] মসজিদের উপরের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আবিস্কৃত মসজিদটির ১.৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত দেওয়াল সংস্কার করে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা অনুমান করেন মসজিদটি সুলতানী আমলে নির্মিত