বলরাম হাড়ির আশ্রম
মালোপাড়ায় জ বলরাম হাড়ি ন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮ শতকের শেষের দিকে মেহেরপুর শহরে । তিনি ‘উপাস’ নামে একটি ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেন যার অনুসারীরা বলরামী সম্প্রদায় নামে পরিচিত। ১৮ শতকের শেষের দিকে বা ১৯ শতকের গোড়ার দিকে এ ধর্মের উদ্ভব ও বিকাশ হয়। বলরাম হাড়ি প্রবর্তিত এ লোকধর্ম নিম্নবর্গীয় অন্ত্যজ ও অস্পৃশ্য শ্রেণীর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে সারা জীবন শাস্ত্র আর প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের গ-ির বাইরে দাঁড়িয়ে মানব প্রেমের মহিমা প্রচার করে গেছেন।
যৌবনের শুরুতে তিনি মেহেরপুরের জমিদার পদ্মলোচন মল্লিকের বাড়ির চৌকিদার ছিলেন। মল্লিক বাড়ির কিছু স্বর্ণালংকার চুরি গেলে তাকে সন্দেহ করা হয়। এতে অত্যন্ত মনোকষ্ট নিয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হন। বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরে বিপুল আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী হন তিনি। বলরামের ভক্তরা তাকে রামের অবতার বলে মনে করেন ?? বলরামও তার শিষ্যদের ইশারা ইঙ্গিতে সে কথা জানান দিয়ে গেছেন। ১৮৫০ সালে ৬৫ বছর বয়সে বলরাম হাড়ি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে সমাহিত করা হয়। মেহেরপুরের জমিদার জীবন মুখার্জি এ সাধকের স্মৃতি রক্ষার্থে ৩৫ শতাংশ জমি দান করেন। এ জমির ওপর নির্মাণ করা হয় বলরাম হাড়ির সমাধি মন্দির।
Instruction
কিভাবে যাবেন ঃ রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেরপুর জেলায় ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং এসি বাসের ক্ষেত্রে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
এছাড়া রাজশাহী থেকে মেহেরপুর জেলার সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। গোল্ডেন স্টার এবং আশার প্রদীপ পরিবহন নামের দুইটি বাস সার্ভিস চালু আছে। গোল্ডেন স্টার পরিবহন রাজশাহীর ভদ্রার মোড় থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং আশার প্রদীপ পরিবহন বিকাল সাড়ে পাচটায় বাস ছাড়ে। এছাড়া বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু আছে যা রুয়েট গেটের নিকট থেকে দুপুরে মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে আসে। ভাড়া ৩৫০ টাকা।
বরিশাল থেকে আলসানি-বরিশাল ডিলাক্স নামের বাস সার্ভিস চালু আছে।বাগেরহাট থেকে খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ হয়ে মাছরাঙ্গা ট্রাভেলস নামের বাস সার্ভিস চালু আছে। বাগেরহাট থেকে বাসটি দুপুর ২ঃ৩০ এ মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
কোথায় থাকবেন ঃ মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন করপোর্রেশনের হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদের স্থাপিত ডাকবাংলোয় ৩টি ভিআই পি কক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা আছে।এছাড়া আছে অনাবিল আবাসিক হোটেল মানে ভালো ।
কোথায় খাবেন ঃ মেহেরপুরের বিশেষ খাবারের মধ্যে রয়েছে ”সাবিত্রী” ও “রসকদম্ব” নামক মিষ্টি। দেশের আর কোথাও এই মিষ্টি বিক্রিয় করা হয় না। আর আমের মৌসুমে মেহেরপুর গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না।