বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (Bangladesh National Museum) এর চারতলা এই ভবনের স্থাপত্য নকশা অত্যন্ত নজরকাড়া। ২০ হাজার বর্গমিটারের এই ভবনটির ৪৫টি গ্যালারিতে রয়েছে প্রায় ৮৩ হাজারের বেশি নিদর্শন। কেবল বাংলাদেশেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ জাদুঘর। জাদুঘরের প্রথম তলাটি যেন পুরো বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ। বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়ে শুরু হওয়া এই তলাতে আরো দেখতে পাবেন বাংলাদেশের গাছপালা, প্রাণী, সুন্দরবন, উপজাতীদের জীবনধারা, খনিজ শিলা, ভাস্কর্য, মুদ্রা এবং প্রাচীন যুগের নানাবিধ ভাস্কর্যের। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় দেখতে পাবেন বাংলাদেশের সভ্যতা ও ইতিহাসের ক্রমবিবর্তন। বিভিন্ন সময়ের অস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, চীনামাটির হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, পাণ্ডুলিপি, সমকালীন শিল্পকলা এবং বাংলাদেশের নানাবিধ ঐতিহ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এই তলা। এছাড়া ভবনের তৃতীয় তলায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যক্তির প্রতিকৃতি, চিত্রকর্ম ও বিশ্বসভ্যতার নানা নিদর্শন।
জাদুঘর প্রাঙ্গণটি নানান রকম গাছে সুসজ্জিত। ভবনের প্রবেশ দ্বারের দু’পাশে রয়েছে ঐতিহাসিক দুটি কামান। ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে নান্দনিক নভেরা ভাস্কর্য। এই ভবনের প্রথম তলায় অফিস, হল রুম ও অন্যান্য। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলায় ঐতিহাসিক সকল নিদর্শন সংরক্ষিত রয়েছে যা প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত। দ্বিতীয় তলায় গেলে দর্শনার্থীরা সামগ্রিক বাংলাদেশ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র, গাছপালা, জীবজন্তু, উপজাতি জনজীবন, শিলা, খনিজ, সুন্দরবন ও অতীত সময়ের বিভিন্ন মুদ্রা ও স্থাপত্য। তৃতীয় তলায় সজ্জিত আছে – অস্ত্রশস্ত্র, চীনামাটির শিল্পকর্ম, পুতুল ও বাদ্যযন্ত্র, বস্ত্র ও পোশাক-পরিচ্ছদ, নকশী কাঁথা, পান্ডুলিপি, সমকালীন শিল্প ও আবহমান বাংলাদেশ। চতুর্থ তলায় সজ্জিত আছে, বিশ্ব মনীষীদের প্রতিকৃতি, বিশ্ব শিল্পকলা, বিশ্ব সভ্যতা প্রভৃতি।
Travel Cost
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশের টিকেট এখন থেকে সংগ্রহ করতে হবে অনলাইনে। অফলাইনে কিংবা কাউন্টার থেকে আর কোন টিকেট মিলবে না। জাতীয় জাদুঘরের ওয়েবসাইট থেকে কাটা টিকেটের ডাউনলোড করা কপি বা প্রিন্ট করা কপি বা টিকিট নম্বর গেইটে দেখালে ঢুকতে দেওয়া হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে টিকেট দেয়া হবে, পরবর্তিতে এটা বাড়ানো হতে পারে। প্রতিদিনের সীমা পেরিয়ে গেলে আর টিকেট কাটা যাবে না। জাদুঘরে প্রবেশের সময় প্রথম গেইট সংলগ্ন ই-টিকিট কাউন্টারে কপি দেখালে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে। টিকেটের মূল্য ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ১০ টাকা, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ২০ টাকা এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা, তবে সার্কভুক্ত দেশ গুলোর জন্যে ৩০০ টাকা।