মোংলা বন্দর

মোংলা বন্দর

Khulna Bagerhat

0 Reviews

মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এটা দেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। এটি খুলনা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বন্দরটি ১ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার শেহলাবুনিয়া মৌজায় পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। এটি পশুর নদী ও মংলা নালার সংযোগস্থলে ও বঙ্গোপসাগরের প্রায় ৭১ নটিক্যাল মাইল উজানে  দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং প্রধান অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহ ও খুলনায় রেল টার্মিনালের সাথে সংযুক্ত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ায়, অনেক আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানি বিকল্প রুট হিসেবে মোংলা বন্দরকে বেঁছে নিয়েছে।

মোংলা বন্দর সুন্দরবন এবং মসজিদের শহর বাগেরহাট সহ দুটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে পর্যটক জাহাজে করে ভ্রমণের জন্য একটি প্রবেশদ্বার। এই বন্দরে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (মংলা ইপিজেড) এরও অবস্থান

Instruction

যাওয়ার উপায়ঃ  ঢাকার সায়দাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং সন্ধা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অনেকগুলা গাড়ী ছেড়ে যায় – মেঘনা (০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩), বনফূল, পর্যটক (০১৭১১১৩১০৭৮), ফাল্গুনী, আরা, বলেশ্বর, হামিম ও দোলা। এছাড়া গাবতলী থেকে সোহাগ (০১৭১৮৬৭৯৩০২), শাকুরা (০১৭১১০১০৪৫০), হানিফ ও ইগল পরিবহন ছেড়ে যায়। ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। যাতায়াতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘন্টা। বাগেরহাট থেকে প্রথমে রূপসা গামী বাসে উঠে কাটাখালি বাস স্ট্যান্ডে নামতে হবে সেখান থেকে মংলা গামী বাসে মংলা অথবা রূপসা ঘাট থেকে মংলার বাস পাওয়া যায়, ভাড়া ৫৫-৭০ টাকা।


থাকার উপায়  ঃ পশুর নদীর অন্য পাড়েই মংলা শহর, তবে দুই পাড়েই রাত্রিযাপনের আবাসিক হোটেল রয়েছে। পশুর মংলা বাস স্ট্যান্ডের পাশেই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল রয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটেও রাতে থাকতে পারবেন। বাগেরহাট সদরে সরকারি গেস্টহাউস ও বিভিন্ন হোটেল আছে। মমতাজ, হোটেল অভি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন সংলগ্ন হোটেল আল আমিন এবং হোটেল মোহনাতে ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় রাত্রি যাপন করতে পারবেন