শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
শ্রীপুর জমিদার বাড়ি (Sreepur Zamindar Bari) মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদরের ১ কি.মি. দূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখনো এখানে পাল রাজার রাজপ্রাসাদের ধ্বংশাবশেষ রয়েছে।
শ্রীপুর জমিদারীর প্রতিষ্ঠা সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী। শ্রীপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জমিদারের আওতাধীন ছিল। শ্রীপুর জমিদার বাড়ি বিশাল প্রাসাদতুল্য মন কাড়া দৃষ্টি নন্দন বাড়ি। এখনো এ বাড়ির প্রবেশদ্বার তথা সিংহদ্বার ভগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে। শ্রীপুর জমিদারীর ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়, নবাব আলীবর্দ্দি খার নিকট হতে সারদারঞ্জন পাল চৌধুরী এ জমিদারী খরিদ করেন। বৈবাহিক সূত্রে বাংলার বারো ভূইয়ার অন্যতম যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের সংগে সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সংগে জমিদার সারদারঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভাপাল চৌধুরীর বিবাহ হয়েছিল। এ সূত্র ধরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য শ্রীপুরে এসেছিলেন। আরো জনশ্রুতি আছে এ বিভাপাল চৌধুরীকে কেন্দ্র করে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৌঠাকুরানীর হাট’ উপন্যাস রচনা করেন।
Instruction
কিভাবে যাবেন ঃ ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, দ্রুতি, ঈগল পরিবহণের এসি, নন-এসি বাসে চড়ে ২৫০ থেকে ৮৫০ টাকা ভাড়ায় মাগুরা জেলায় যেতে পারবেন। মাগুরা জেলা সদর থেকে শ্রীপুর উপজেলার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। মাগুরা হতে শ্রীপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড নেমে রিকশা বা ইজিবাইকের মত স্থানীয় পরিবহণে চরে শ্রীপুর-সাচিলাপুর রাস্তার বামপার্শ্বে অবস্থিত শ্রীপুর জমিদার বাড়ি পৌঁছে যাবেন।
কোথায় থাকবেন ঃ মাগুরাতে আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। রাত্রিযাপনের প্রয়োজনে হোটেল চলনতিকা কিংবা ছায়া বিথীকে বেছে নিতে পারেন। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুমতি সাপেক্ষ্যে থাকতে পারবেন। এছাড়া আরও বিভিন্ন হোটেল রয়েছে জেলা শহরে যেগুলো রিসোর্টের রুম আপনি আমাদের সাইট থেকেই বুক করতে পারবেন ।